আত্মসমর্পণকারী ১০২ ইয়াবা কারবারি কারাগারে

ইয়াবা কারবারীদের আত্মসমর্পণে মধ্যস্থকারী সাংবাদিক আকরাম হোসাইনকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা সময়ের দাবী

মহেশখালী (কক্সবাজার)প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফে গত ১৬ ফেব্রুয়ারী শনিবার ঘটা করে উৎসব মূখর পরিবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের আইজিপি ড. মোঃ জাবেদ পাটোয়ারীর উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণকারী ১০২ জন ইয়াবা কারবারিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (টেকনাফ) বিচারক দেলোয়ার হোসেন এ আদেশ দেন। কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান (শনিবার) দুপুরে পুলিশের কাছে ১০২ জন ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করে, যাদের সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে বিচারকের আদেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে আদালত পরিদর্শক মো. দিদারুল আলম জানান, আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে দুইটা মামলা হয়েছে; একটা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে, অন্যটা অবৈধ অস্ত্র আইনে। এদিন দুপুর ১২টার দিকে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আত্মসমর্পণকারী ১০২ জন ইয়াবা কারবারি ৩ লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা ও ৩০টি দেশীয় পিস্তল জমা দেয়। পরে তিনটা বাসে করে তাদের কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।

ওই দিন ইয়াবা কারবারীদের আত্মসমর্পণ অনুষ্টান দেখতে আত্মসমর্পণকারীদের আত্মীয়স্বজন ছাড়া লাখো জনতার ঢল নামে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠসহ প্রধান সড়কে। কোথাও যেন তিল ধরণের ঠাঁই ছিলনা। এখন সাংবাদিক মহল ও কক্সবাজার জেলাবাসির প্রাণের দাবি যিনি অসাধ্যকে সাধন করে ইয়াবা কারবারীদের অন্ধকার জগত থেকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন সৎ নিষ্টা, জনবান্ধব ও বিচক্ষণ চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের দেশ জুড়ে আলোচিত সাংবাদিক আকরাম হোসাইকে রাষ্ট্রীয় সম্মানমা ভূষিত করা!

জানা গেছে, আগামী প্রজম্মের প্রেরণা দেশ জুড়ে আলোচিত নিরহংকারী, সাহসী সাংবাদিক আকরাম হোসাইন কক্সবাজার জেলার সন্তান হওয়ার সুবাধে তিনি কক্সবাজার জেলার গর্বও বটে। তার প্রচেষ্টায় সারা বাংলা আজ শান্তিময় হতে যাচ্ছে। এবং তার অক্লান্ত পরিশ্রম, দূরদর্শীতা এবং সাহসিকতায় মহেশখালীসহ বাংলাদেশের অধিকাংশ ক্রাইমজোন আজ শান্তির পথে। তিনি একজন গর্বিত নাগরিক।

কক্সবাজার উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হোবাবাইব সজীব বলেন, আমি স্থানিয় সাংবাদিক হওয়ার সুবাধে সহপাঠীদের মতে মহেশখালীতে জলদস্যু বাহিনী আত্মসমর্পণে আমার চুল পরিমাণ কর্তৃত্ব থাকলেও কক্সবাজারের মহেশখালীর জলদস্যুদের একটি অংশ সাংবাদিক আকরাম হোসাইনের মধ্যস্থতায় আত্মসমর্পণ করেছে গত বছরের ২০ অক্টোবর।

তিনি হচ্ছে একমাত্র প্রশংসার দাবিদার। এবার অস্থির মাদকের রাজ্য টেকনাফে স্বস্তি ফেরাতে তিনি আরামের ঘুম হারাম করে ছুটেছেন ফলে আজ টেকনাফ ও শান্তির পথে। যা তিনি প্রশংসা ও রাষ্ট্রীয় সম্মাণনা পাওয়ার যোগ্যতা রাখে বলে সুশিল সমাজের লোকজন বলছেন।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারী শনিবার টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মহেশখালী-কুতুবদিয়া দ্বীপের জলদস্যুদের মত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের আইজিপি ড. মোঃ জাবেদ পাটোয়ারী হাতে সাংবাদিক আকরামের মধ্যস্থায় ইয়াবা ও অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমপর্ণ করেছে টেকনাফের বাঘা বাঘা ইয়াবা কারবারীরা। যা দেশের শীর্ষ গণমাধ্যম ও সোস্যল মিড়িয়া ফেসবুকে একের পর এক সংবাদ শিরোনাম হচ্ছে।

দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারদের সরকারের পক্ষ থেকে সাহসিকতা ও অপরাধ দমনের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রীয় সম্মানণা দেওয়া হয়। মহেশখালী পর এবার টেকনাফের ইয়াবা কারবারীদের আত্মসমর্পণের ইতি হাসে মাইলফলক সৃষ্টি করে দেশ জুড়ে তকমা লাগিয়ে দেওয়া চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের সাংবাদিক আকরাম হোসাইনকে বঙ্গবন্ধুর তণয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সু-নজরে এসে সরকার বাহুদুরের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় সম্মাণনা ভূর্ষিত করা সাংবাদিক মহলের প্রাণের দাবীতে পরিণিত হয়েছে।

অপরদিকে সাংবাদিক আকরাম হোসাইনকে রাষ্ট্রীয় সম্মানণা দেওয়ার জন্য সরকারের উচ্চ মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে। অনেক পাঠক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের টাইম লাইনে লিখিছেন সাংবাদিক আকরাম হোসাইন। যিনি অসাধ্য কে সাধ্য করেন। যার হাত ধরে টেকনাফের মানুষ মাদকের অভিশাপ মুক্ত হতে শুরু করেছে। যার প্রথম টার্গেট ছিল মহেশখালী। ২য় টার্গেট টেকনাফ। ৩য় টার্গেট আল্লাহ মালুম। তবে আমার বিশ্বাস তিনি থেমে থাকবেননা। আরো বড় কাজ হাতে নিবেন। টেকনাফের একটি কাজের সফল সমাপ্তি। নতুন কাজের সূচনা। আল্লাহ আপনার সহায় হোক।